বাংলাদেশ সরকার কলকাতা দূতাবাসে নিযুক্ত বরিষ্ঠ কূটনীতিক শাবাব বিন আহমেদকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় ফিরিয়ে আনছে। ঢাকার প্রথম আলো পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুসারে, শাবাব বিন আহমেদ ঈদ-উল-আজহা (কোরবানি ) উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে গরু ও ছাগল কোরবানি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ জারি করেছিলেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই এই আদেশ জারি করা হয়েছিল।
কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতি বছরই বলিদান করা হয়ে আসছে। এই ঐতিহ্য গত ৩০ বছর ধরে চলে আসছে। এ বিষয়ে শাবাব বিন আহমেদ বলেন, কূটনীতিকদের আয়োজক দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। তবে, কেউই ডেপুটি হাইকমিশনারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননি। মিশনের কর্মীরা শাবাব বিন আহমেদের সিদ্ধান্তকে সংবেদনশীলতার প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উপর প্রভাব?
এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী ইসলামিক মৌলবাদীদের সমর্থনের অভিযোগ রয়েছে। যদিও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ইতিমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ। এই ঘটনাটিকে "আগুনে ঘি ঢালার" চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন ভারতে গরুর সাথে সম্পর্কিত ধর্মীয় অনুভূতি অত্যন্ত সংবেদনশীল বলে বিবেচিত হয়।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস
আহমেদ নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর তাকে কলকাতা কনস্যুলেটে ডেপুটি হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য নিযুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের পতনের পর এই পদায়ন করা হয়। পূর্ববর্তী সরকার উৎখাতে ছাত্র আন্দোলন সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল, যার কারণে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল এবং জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment